বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের হাতে তুলে দেব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, তরুণদের সাহসিকতায় দেশের স্বৈরাচার পতন সম্ভব হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার সরকারি হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “সাড়ে ১৫ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের পরও স্বৈরাচার তাড়ানো সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের সন্তানেরা সেই অসাধ্য কাজটি করে দেখিয়েছে। তাদের হাতে আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”
তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “জাতি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তরুণদের ভালোবাসা ও স্যালুট জানাই।”
জামায়াত আমির উল্লেখ করেন, “তিনটি নির্বাচনে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এটি গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার। জাতিকে বিভক্ত করে যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে।”
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবেশী হিসেবে শান্তিতে থাকতে চাই। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি রক্ষায় আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।”
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা হয়েছে, দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ করা হয়েছে। তবে আমরা এখনও দেশের মানুষকে ভালোবাসি এবং সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। মেধার ভিত্তিতে জাতি গঠনে মনোযোগ দেব। যুবকদের আদর্শ শিক্ষা দিয়ে তাদের কর্মক্ষম করে তুলব।”
মৌলভীবাজারের চা শিল্পের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “দেশের চা শিল্প এখন ধ্বংসের পথে। শ্রমিক ও মালিকেরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছেন না। এটি রক্ষায় রাষ্ট্রীয় পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি চারটি মূলনীতি তুলে ধরেন:
সঠিক নিয়ত করা।
জ্ঞানের চর্চায় এগিয়ে যাওয়া।
সাহসিকতা ও কঠোর পরিশ্রম করা।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকা।
বিশেষ অতিথিদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, এবং সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন: জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইয়ামির আলী ও সহকারী সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ।