বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান। দীর্ঘদিন পর মায়ের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ পেলেন তারেক রহমান।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হজরত আলী খান তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে খালেদা জিয়াকে রয়্যাল ভিভিআইপি গেট দিয়ে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাকে লন্ডনের একটি বিশেষায়িত ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে কারাবাসের সময় তার অসুস্থতা আরও বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লিভার প্রতিস্থাপন এখন অত্যন্ত জরুরি। ধারণা করা হচ্ছে, পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই মাস সময় লাগবে।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন খালেদা জিয়া। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাকে বিদায় জানান।
চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া আবার লন্ডনে ফিরে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এরপর তিনি দেশে ফিরবেন।
২০১৭ সালের পর এটি তার প্রথম বিদেশ সফর। দীর্ঘ সময়ের মধ্যে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার এ সফর তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও সুস্থতার প্রক্রিয়া দ্রুত ও সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তার পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীরা।