বাংলাদেশের অন্যতম সফল ওপেনার তামিম ইকবাল আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন, তিনি আর দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলবেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে রেখে জাতীয় দলে ফেরার প্রস্তাব পেলেও তামিম নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২5-এর জন্য তামিমকে দলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। নির্বাচক কমিটিও একইভাবে চেয়েছিল তামিমকে স্কোয়াডে যুক্ত করতে। বিসিবি এ নিয়ে তামিমের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। তবে তামিম শেষমেশ জাতীয় দলে না ফেরার সিদ্ধান্তই জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তামিম তার বিদায়ের কথা নিশ্চিত করেছেন। তার পোস্টের মূল বক্তব্য ছিল:
“আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।”
তামিম আরও বলেন, তিনি চান না তার বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিতে দলের মনোযোগ ব্যাহত করুক।
তামিম জানান, তিনি আগেই বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে তাকে ঘিরে অযথা আলোচনা হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপের আগে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা তামিমের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। ক্রিকেটীয় কারণে দলের বাইরে না গেলেও, তাকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক তার মনোবল নষ্ট করেছে।
তামিম বলেন,
“অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি এবং এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।”
তামিমের ছেলে তাকে জাতীয় দলে খেলতে দেখতে চেয়েছিল। তবে তামিম ছেলেকে বলেছেন,
“তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।”
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং নির্বাচক কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য তামিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে নিজের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে জাতীয় দল থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন।