দীর্ঘদিন পর পদোন্নতি পেলেও ‘বাড়তি চাপ’ রয়েছে পদোন্নতি পাওয়া সরকাররি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ওপর। পদোন্নতির আদেশে যেসব শর্ত যুক্ত করা হচ্ছে, সেগুলোকে বাড়তি চাপ হিসেবে দেখছেন তারা। বিশেষ করে আগামী এক বছরের মধ্যে কাজে ‘দক্ষতা’ দেখাতে না পারলে এবং ‘আচরণগত সমস্যা’ দেখা গেলে পদ হারাতে হবে প্রধান শিক্ষকদের। আবারও তাদের যেতে হবে সহকারী শিক্ষক পদে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) মির্জাপুর, সখিপুর, ধনবাড়ি ও বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০২ জন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এমনটাই জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রধান শিক্ষক পদে এক বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকরা বিবেচিত হবেন। এসময় তাদের আচরণ সন্তোষজনক হলে তাদের চাকরি স্থায়ী হবে। আর তা না হলেও কর্তৃপক্ষ তাদের সহকারী শিক্ষক পদে ফেরত পাঠাতে পারবেন।
টাঙ্গাইল জেলার চার উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২ জন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মির্জাপুরের সবচেয়ে বেশি, ৭৩ জন। এছাড়া সখীপুরের ৫৫ জন এবং ধনবাড়ী ও বাসাইলের ৩৭ জন করে শিক্ষক পদোন্নতি পেয়েছেন।
দেশে বর্তমানে ১৮ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। সেখানে সহকারী শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। আর কয়েক বছরে তিন ধাপে ২৬ হাজারের বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছে সরকার। সেগুলোতেও প্রধান শিক্ষক নেই। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ এখন শূন্য। নির্বাচনের আগেই পদোন্নতি দিয়ে শূন্য এসব পদ পূরণ করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।