বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:

বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের টিলা-গাছ কেটে দোকান কোঠা নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্বার্থান্বেষী একটি মহল পরিবেশ ধ্বংসের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। অভিযোগের তীর উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটনের বিরুদ্ধে ।

জানা গেছে, দলের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন কোনো প্রকার দরপত্র আহবান ছাড়াই শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গেট সংলগ্ন টিলা ও একাধিক গাছ কেটে মার্কেট নির্মাণের কাজ অবৈধভাবে তার ছোটভাই আহমেদ শরীফ দেলোয়ারকে পাইয়ে দেন। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি গাছগুলো না কাটতে পরিবেশকর্মীরাও প্রতিবাদ জানান। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছিত এসব তোয়াক্কা না করে টিলার মাটির পাশাপাশি একাধিক গাছও কেটে নিয়েছেন। গাছ কাটার পর সেখানে দোকান ঘরও নির্মাণ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, গাছগুলো অনেক পুরোনো। প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি ছায়াও দিত। কিন্তু আমাদের আপত্তির স্বত্বেও গাছগুলো কাটা হয়েছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে।

পরিবেশকর্মী রিপন দাস বলেন, একটি পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এত পুরাতন গাছগুলো এভাবে কাটা ঠিক হয়নি। শিক্ষার্থীরা আমাদের আগে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমরা গাছগুলো না কাটতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা শুনল না। ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন অনেকটা প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করেছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন বলেন, প্রতিষ্ঠানের সবার অনুমতি নিয়ে গাছগুলো কেটেছি। এটা দোষের কিছু নয়। অনুমতি ছাড়া টিলা কাটা ঠিক এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টিলার মাটি বেশি কাটিনি। অল্প একটু কেটেছি।

এবিষয়ে জানতে শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছিতের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি গভর্ণিং বডির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর ভালো বলতে পারবেন। একথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।