সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার: পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে বিদ্রোহীদের নিয়োগ

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৩ সপ্তাহ আগে
  • Print

সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তী সরকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে বিদ্রোহীদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, বাশার আল-আসাদের পতনের দুই সপ্তাহ পর নতুন সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ক্ষমতাসীন জেনারেল কমান্ড সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আসাদ হাসান আল-সিবানি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মুরহাফ আবু কাসরা-র নাম ঘোষণা করে। মুরহাফ আবু কাসরা সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন মন্ত্রিসভার ১৪ সদস্যের সবাই এইচটিএস প্রধান আহমেদ হুসাইন আল-শারার ঘনিষ্ঠ। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, নতুন সরকার পুরো সিরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছে, নাকি এটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিজস্ব প্রশাসন।

আহমেদ হুসাইন আল-শারাকে বর্তমানে সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো শাসক বলা হচ্ছে। দেশ পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে তিনি জানিয়েছেন। শারার আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও সরাসরি অংশ নিচ্ছেন।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র শারারের ওপর থাকা ১ কোটি ডলারের পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করেছে। ওয়াশিংটন আগে তাঁকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন শুরু হয়েছে।

  • কাতার শনিবার দামেস্কে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে।
  • তুরস্ক কূটনৈতিক মিশন পুনরায় চালু করা প্রথম দেশ।
  • ইউরোপীয় ইউনিয়নও দামেস্কে মিশন পুনরায় চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহী যোদ্ধারা রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর ফলে বাশার আল-আসাদ ২৪ বছরের শাসন শেষ করে পালিয়ে যান। আসাদের পতনের মাধ্যমে আল-আসাদ পরিবারের টানা ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও নিউজ