ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকায় পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী উর্মি আক্তার (২৭)। ঘটনার পর মামলা হলে পালিয়ে যান তিনি। হত্যাকাণ্ডের শিকার ভুক্তভোগী হলেন মারুফ কাজী। অবশেষে গতকাল বুধবার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন কদমতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০।
বৃহস্পতিবার ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত মারুফের স্ত্রী উর্মির সঙ্গে ইমরান নামের একজনের দীর্ঘ দিনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তারা একে অপরকে লুকিয়ে বিয়ে করার জন্য চেষ্টা করেন। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান উর্মির স্বামী মারুফ। আর এই বাধাকে সরিয়ে ফেলার জন্য উর্মি ও ইমরান মিলে মারুফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরে ২০২১ সালের ২১ মে রাতে মারুফকে কৌশলে বাইরে নিয়ে গিয়ে মদপান করান ইমরান। এরপর দিন মারুফ রাতে ঘরে ফেরেন। ওই সময় মারুফকে তার স্ত্রী উর্মি ট্যাংয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করান। এতে মারুফ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে উর্মি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মারুফকে হত্যার জন্য তার প্রেমিক ইমরানকে খবর দেন।
পরে ওই দিন সকাল ৬টার দিকে ইমরান মারুফের বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর উর্মি ও ইমরান দুজনে মিলে তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শক্ত হাতুড়ি দিয়ে মারুফের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। যার ফলে মারুফ ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পর উর্মি ও ইমরান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রক্তমাখা জামাকাপড় পাশের ডোবার পানিতে ফেলে পালিয়ে যান।
হত্যাকাণ্ডের পর মারুফের পরিবার বাদী হয়ে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মারুফের স্ত্রী উর্মি ও উর্মির প্রেমিক ইমরানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে পুলিশ উর্মি ও ইমরানকে গ্রেপ্তার করে। এরপর উর্মি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ঘটনাটি জানার পর র্যাব-১০ এর একটি দল পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার উর্মিকে গ্রেপ্তার করা হয়।