সিলেট নগরীতে অপরাধের মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলি নগরবাসীর জীবনে নিরাপত্তাহীনতার কালো ছায়া ফেলেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। নগরীর ব্যস্ত স্থানগুলো থেকে শুরু করে আবাসিক এলাকাগুলোতেও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য লক্ষ করা যাচ্ছে। পথচারীরা মোবাইল ফোন বা নগদ টাকা নিয়ে চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন।
সম্প্রতি শিবগঞ্জ এলাকায় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ৪২ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে। এছাড়া কুয়ারপাড়ে বিএনপি নেতার বাড়িতে চুরির ঘটনায় স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা খোয়া গেছে। চৌহাট্টা এলাকায় এক সাংবাদিকের মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
একজন নারী সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফিরছিলেন, তখন মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন তার টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। তবে সিএনজি চালকদের সহায়তায় তিনি রক্ষা পান। অন্যদিকে, কদমতলী, আম্বরখানা, টিলাগড়, ওসমানী মেডিকেল এলাকা ও কিনব্রিজসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইকারীরা সক্রিয়।
অপরাধীদের রাজনৈতিক ছত্রছায়ার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। ৫ আগস্টের পর নগরীর ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে অপরাধীদের কার্যক্রমেও পরিবর্তন দেখা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন অপরাধ চক্র রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্যমতে, গত নভেম্বরে ১৯টি চুরি, ৮টি ছিনতাই এবং একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা অপরাধীদের গ্রেফতার করতে তৎপর এবং ৪২ লাখ টাকার ছিনতাইয়ের তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে।
প্রতিদিনের অপরাধের ঘটনাগুলি নগরবাসীর মানসিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও অপরাধের এই স্রোত থামাতে আরও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।