আগাম আলু চাষে দিনাজপুরের হিলির কৃষকদের ব্যাপক লাভ

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:২২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৩ মাস আগে
  • Print

দিনাজপুরের হিলিতে আগাম জাতের আলু চাষ শুরু হয়ে গেছে, এবং কৃষকেরা এখন ফলন তোলার কাজ করছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে আলুর চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানো গেলে আরও বেশি লাভের আশা করছেন তারা।

বাজার ও উৎপাদনের অবস্থা

কৃষকদের দাবি, আগাম আলু উৎপাদনের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ফলন হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ মণ, যা বর্তমান বাজারদরে (প্রতি মণ ২০০০-২২০০ টাকা) বিক্রি করে এক লাখ টাকার ওপরে আয় করা সম্ভব হচ্ছে। এতে বিঘা প্রতি লাভ দাঁড়াচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

কৃষকদের অভিজ্ঞতা

হিলির খট্টামাধবপাড়া গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, “আমরা আগাম জাতের ক্যারেজ আলু চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে দামও ভালো পাচ্ছি। আলু তোলার পর জমিতে ভুট্টা লাগাবো, এতে অতিরিক্ত কোনো খরচ হবে না।”

অপর কৃষক আইয়ুব হোসেন জানান, “আলুর দাম ভালো হলেও মধ্যসত্বভোগীরা আমাদের লাভের অংশ কমিয়ে দিচ্ছে। তারা কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে।”

কৃষি কর্মকর্তাদের মতামত

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। ১৫০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে, এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা সন্তুষ্ট। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই আলু সরবরাহ করা হচ্ছে।

পাইকার ও শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা

আলু কিনতে আসা পাইকার আসলাম হোসেন বলেন, “হিলির আগাম আলুর চাহিদা বেশি থাকায় আমরা এখান থেকে আলু কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছি।”

অন্যদিকে, শ্রমিক নূরজাহান বেগম বলেন, “প্রতি বস্তা আলু উত্তোলনে ৬০-৭০ টাকা পাই। সংসারের কাজে এই আয় বেশ কাজে লাগছে।”

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আলুর উৎপাদন ও বাজার ভালো থাকলেও কৃষকেরা সার, বীজ, এবং শ্রমের উচ্চ খরচের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও নিউজ