সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলায় আপসনামা দাখিল

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২ মাস আগে
  • Print

ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়ের করা একটি আলোচিত মামলায় বাদী হাফিজ আহমদ ও তাঁর আহত ভাই জহুর মিয়া আদালতে আপসনামা জমা দিয়েছেন। সোমবার (১১ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র আপসনামা গ্রহণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) বিষয়টি অবহিত করার নির্দেশ দেন।

মামলার পটভূমি

২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ চার সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৯৯ জনের নামোল্লেখ করে আরও ২০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা হাফিজ আহমদ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট পুরাতন বাসস্টেশনে বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে গুলি, রামদার আঘাত, পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে বাদীর ভাই জহুর আলী, রিপন মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করা হয়। হামলায় জড়িত হিসেবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

আপসনামা ও মামলার অগ্রগতি

বাদী ও তাঁর ভাই আদালতে লিখিতভাবে জানান, আসামিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আপসে মীমাংসা হয়েছে। তাদের আইনজীবী নানু মিয়া আদালতকে জানান, আপসনামা দাখিলের পর বিচারক বিষয়টি নথিভুক্ত করেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম

  1. এম এ মান্নান – সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি।
  2. মুহিবুর রহমান মানিক – সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি।
  3. রনজিত সরকার – সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি।
  4. নুরুল হুদা মুকুট – জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
  5. নোমান বখত পলিন – জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
  6. নাদের বখত – সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র।
  7. খায়রুল হুদা চপল – জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক।

গণমাধ্যমে বাদীর বক্তব্য

মামলার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাদী জানান, মামলায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের অনেককেই তিনি চেনেন না। কেবলমাত্র একটি কাগজে স্বাক্ষর করেছেন। মামলার পর ১২০ জনের মতো নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হন, যাদের মধ্যে অনেকেই এখনও কারাগারে রয়েছেন।

এই ঘটনা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা

  • রাজনৈতিক সংঘাত ও মামলার জটিলতায় সঠিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তা।
  • আপসনামা এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করার গুরুত্ব।
  • ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও নিউজ