টাঙ্গাইলে একটি প্রসাধনপণ্যের শোরুম উদ্বোধনের জন্য চিত্রনায়িকা পরীমনির যাওয়ার কথা ছিল। তবে বিরূপ পরিস্থিতির কারণে শেষ মুহূর্তে তিনি যাওয়া বাতিল করেন। এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীমনি।
গত শুক্রবার, টাঙ্গাইল জেলা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এবং জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কালিহাতী উপজেলার সভাপতি মুফতি সুলাইমান হাবিব তাঁর ফেসবুক পোস্টে পরীমনির টাঙ্গাইল সফরের বিরোধিতা করেন। এর পরেই আয়োজক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মীর মাসুদ রানা জানান, একটি ফোনকলের মাধ্যমে জানানো হয় যে, পরীমনিকে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হবে।
পরীমনি শনিবার রাতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লিখেছেন,
“শিল্পীদের এত বাধা কেন আসবে? অনিরাপদবোধ করছি! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা!”
পরীমনি আরও বলেন,
“এত চুপ করে থাকা যায় নাকি! শিল্পীদের ওপর এত বাধা কেন আসবে? মেহজাবীন, পড়শী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে এভাবে কি প্রমাণ করতে চান? যদি এ দেশের সিনেমা ও বিনোদন বন্ধ করতে চান, তাহলে তা স্পষ্টভাবে বলে দিন। আমরা শিল্পীরা কি শুধু ইমোশনালি ব্যবহৃত হচ্ছি?”
পরীমনির স্ট্যাটাসটি রাত ১০টা ৩১ মিনিটে পোস্ট করার পর এক ঘণ্টার মধ্যেই ৬০ হাজারের বেশি রিঅ্যাক্ট, ২৩ হাজার মন্তব্য এবং সাড়ে ৩ হাজার শেয়ার হয়।
কয়েক দিন ধরে টাঙ্গাইলে শোরুম উদ্বোধনের প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন পরীমনি। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের টিন মার্কেট শোরুম উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাধার মুখে তাঁর সফর বাতিল করা হয়।
পরীমনির এই বক্তব্য শুধু একটি ঘটনার প্রতিবাদ নয়, বরং এটি শিল্পীদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্বীকৃতির জন্য একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে।