যুক্তরাষ্ট্রের রোনাল্ড রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও একটি আঞ্চলিক যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯:৩০ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর পোটোম্যাক নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এটি সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, পিএসএ এয়ারলাইন্সের বোম্বারডিয়ার সিআরজে৭০০ উড়োজাহাজ এবং সিকোরস্কি এইচ-৬০ হেলিকপ্টারটি রানওয়েতে অবতরণের সময় সংঘর্ষে জড়ায়। উড়োজাহাজটি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে কানসাসের উইচিটা থেকে ওয়াশিংটনে আসছিল।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ফ্লাইটটিতে ৬০ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হেলিকপ্টারটিতে তিনজন সেনা সদস্য ছিলেন, যারা প্রশিক্ষণ ফ্লাইটে অংশ নিচ্ছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে সংঘর্ষের মুহূর্তে একটি অগ্নিগোলক দৃশ্যমান হয়। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। সংঘর্ষের পর উড়োজাহাজটি মার্কিন ক্যাপিটাল ভবনের কাছে পোটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নদী থেকে চারজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে তাদের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি। টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ জানিয়েছেন, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার পরপরই ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল সমন্বিতভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে এটিকে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য সব ধরনের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।