মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার প্রতিরোধে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে দেশ দুটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় আসার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুল্ক আরোপ স্থগিতের কারণ
ট্রাম্পের ঘোষণার পর বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দেখা দেয় এবং বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়। তবে শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেনবাউমের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের মাধ্যমে সমঝোতা হয়।
সীমান্ত নিরাপত্তায় নতুন উদ্যোগ
মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করতে রাজি হয়েছে। ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা ইতিমধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তায় কাজ করছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, শেনবাউমের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং শুল্ক আরোপ আপাতত স্থগিত থাকবে।
কানাডার প্রতিশ্রুতি
কানাডাও সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। ফেনটানিলসহ অন্যান্য ক্ষতিকর মাদক পাচার রোধে দেশটি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ট্রুডো জানান, উত্তর সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে এবং মাদক পাচারকারীদের সন্ত্রাসীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
চীনের সঙ্গেও আলোচনার প্রস্তুতি
চীনের পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প। তবে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই চীনের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে আলোচনা হতে পারে, যাতে চীনা পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ এড়ানো যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অংশীদার
কানাডা, মেক্সিকো ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। ট্রাম্প গত শনিবার এই তিন দেশের পণ্যে শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যা মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে সাম্প্রতিক আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববাণিজ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা আগামী দিনগুলোতে স্পষ্ট হবে।