সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় অভিনব কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। প্রবাসে থাকা ভাই ইমিগ্রেশনে বিপদে পড়েছেন—এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারকরা দুটি বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়ার ফাঁদ তৈরি করে।
প্রতারণার ঘটনা
গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর পরিবার প্রথমে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে না পারলেও পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমার আদিত্যপুর গ্রামের সামসাদ মিয়ার ছেলে আজিজুর রহমান যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তবে তার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। ওই দিন সকালে হঠাৎ আজিজুর রহমানের ফোন নম্বর থেকে তার মায়ের নম্বরে একটি এসএমএস আসে। বার্তায় জানানো হয়, তিনি যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশনে আটক হয়েছেন এবং তাকে মুক্ত করতে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে হবে, অন্যথায় তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
মা ব্যাকুল হয়ে দেশে থাকা ছেলে আমিনুর রহমানকে দ্রুত টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আমিনুর রহমান নাজিরবাজারের একটি বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে প্রতারকদের দেওয়া দুটি নম্বরে ৪৯ হাজার টাকা পাঠান। তবে কিছুক্ষণ পরই তিনি প্রবাসী ভাইয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, তিনি কোনো সমস্যায় পড়েননি। তখনই তারা বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং দ্রুত দক্ষিণ সুরমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশের তদন্তের অগ্রগতি
ঘটনার পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দক্ষিণ সুরমা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই ফাইমুর রহমান জানান, তদন্ত কিছুটা এগিয়েছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুতই প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতারণা থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের প্রতারণা এড়াতে বিদেশে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। তাছাড়া, জরুরি প্রয়োজনে টাকা পাঠানোর আগে সত্যতা যাচাই করা উচিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং সন্দেহজনক কোনো লেনদেন হলে দ্রুত স্থানীয় থানায় জানানোর পরামর্শ দিয়েছে।