যবের ছাতু (Barley Flour/Barley Sattu) একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকায় এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখা, হজমশক্তি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

যবের ছাতুর পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম যবের ছাতুতে থাকে –

• প্রোটিন: ২০.৬%

• ফ্যাট: ৭.২%

• ফাইবার: ১.৩৫%

• কার্বোহাইড্রেট: ৬৫.২%

• ভুসি: ২.৭%

• আর্দ্রতা: ২.৯৫%

• ক্যালোরি: ৪০৬

• সোডিয়াম: ২ মি.গ্রা.

• ম্যাংগানিজ: ১ মি.গ্রা.

এছাড়া মালটোজ, গ্লুকোজ, লেসিথিন, এমাইলেস, ভিটামিন-বি ইত্যাদি পুষ্টি উপাদানও থাকে।

যবের ছাতুর উপকারিতা

রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে যব রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হার্ট ও মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যবের ছাতুর ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ফলে অযথা ক্ষুধা লাগে না। এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে রক্তে অতিরিক্ত শর্করা জমতে বাধা দেয়।

মস্তিষ্ক সচল রাখে

খনিজ ও ভিটামিন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং সঠিক রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করে।

শরীরের শক্তি বাড়ায়

যবের ছাতু হাড় ও পেশি মজবুত করে এবং দৈহিক দুর্বলতা দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

অন্যান্য উপকারিতা

• হজমশক্তি উন্নত করে

• শরীর ঠাণ্ডা রাখে

• ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক

• লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখে

• পানি স্বল্পতা দূর করে

যবের ছাতুর জনপ্রিয় রেসিপি

১. যবের রুটি

সবজি বা হালুয়ার সাথে সকালের নাশতায় খাওয়া যায়। এটি শক্তি জোগায় ও কফ দূর করে।

২. ছাতুর শরবত

যবের ছাতুর সাথে পানি, লবণ, চিনি বা মধু মিশিয়ে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শরবত তৈরি করা যায়।

৩. ছাতু

সরাসরি লবণ দিয়ে বা অন্যান্য খাবারের সাথে খাওয়া যায়।

উপসংহার

যবের ছাতু একটি সহজলভ্য ও স্বাস্থ্যকর খাবার। নিয়মিত খেলে এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে, হজমশক্তি বাড়ায়, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরকে শক্তিশালী করে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যবের ছাতু রাখতে পারেন।