আজ রবিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৯ দেশে চা রপ্তানি বাড়ছে

  • আপডেট টাইম : অক্টোবর ৩, ২০২৫ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৯টি দেশে সর্বোচ্চ ২.৪৫ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে ৫৭.৫৫ শতাংশ বা ১.৪১ মিলিয়ন কেজি। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৪৫৯.৫৮ মিলিয়ন টাকা। এটি গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়।

তবে রপ্তানি বৃদ্ধির মধ্যেও উৎপাদনে কিছুটা ধস নেমেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন প্রান্তিকে চা উৎপাদন গড়ে ৮ শতাংশ কমেছে। এ সময় দেশে মোট উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার কেজি, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ২ কোটি ৪৩ লাখ ৫ হাজার কেজি।

চা বোর্ড আশা করছে, জুলাই-অক্টোবর ভরা মৌসুমে উৎপাদন বাড়বে। চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের।

রপ্তানির বাজার

বাংলাদেশের চা মূলত রপ্তানি হচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও স্পেনে। পাশাপাশি আরও কিছু দেশে সীমিত পরিমাণে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে প্রধান রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে— ফিনলে টি, এইচআরসি গ্রুপ, ইস্পাহানি, আবুল খায়ের, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট এবং হালদা ভ্যালি টি এস্টেট।

রপ্তানিমূল্য ও চাহিদা

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রতি কেজি চায়ের গড় রপ্তানিমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫৬.২৬ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে। দেশে নিলামে প্রতি কেজি চা ১৭০-১৯০ টাকায় বিক্রি হলেও রপ্তানিতে ২৬০ টাকার কাছাকাছি দর পাওয়া যাচ্ছে।

চা খাতের চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশ চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, উৎপাদন প্রকৃতিনির্ভর হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে। তিনি জানান, বিকল্প সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা রাখা সম্ভব। একই সঙ্গে খরচ কমানো, লোকসান এড়ানো এবং রপ্তানিমুখী উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ জরুরি।

সার্বিকভাবে ২০২৪ সালে চা রপ্তানিতে ইতিবাচক অগ্রগতি হলেও উৎপাদন ঘাটতি কাটিয়ে ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এই সম্পর্কিত আরও নিউজ...