
গোল, অ্যাসিস্ট, ট্রফি—ফুটবলের প্রায় সব ক্ষেত্রেই লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর তুলনা হয়ে থাকে। তবে দুই তারকার শৃঙ্খলাজনিত (ডিসিপ্লিনারি) রেকর্ড নিয়ে আলোচনাই হয় খুব কম। সাম্প্রতিক পর্তুগাল–আয়ারল্যান্ড ম্যাচে রোনালদোর লাল কার্ড দেখার পর আবারও সামনে এসেছে কার্ডের এই পরিসংখ্যান।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর প্রথম লাল কার্ড
২০০৩ সালে অভিষেকের পর দীর্ঘ ২২৫ ম্যাচে একবারও লাল কার্ড দেখেননি রোনালদো। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তিনি দেখেছেন জাতীয় দলের প্রথম লাল কার্ড। এ কারণে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম দিকের ম্যাচগুলোতে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতেও আছেন তিনি।
ক্লাব ফুটবলে অবশ্য রোনালদোর লাল কার্ডের সংখ্যা নেই কম। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও আল নাসরের হয়ে তিনি মোট ১২ বার লাল কার্ড দেখেছেন—এর মধ্যে ৮টি সরাসরি, বাকি ৪টি দুই হলুদের যোগফলে। সব মিলিয়ে তাঁর ক্যারিয়ারে লাল কার্ড ১৩টি, আর হলুদ কার্ড ১৬২টি। কার্ডের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে ৩১ ম্যাচ।
মেসির চার লাল কার্ড
মেসির আন্তর্জাতিক অভিষেক ছিল লাল কার্ডে রঙিন—২০০৫ সালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে মাত্র ৪৩ সেকেন্ড মাঠে থাকার পরই কার্ড দেখেন তিনি। জাতীয় দলে তাঁর লাল কার্ড আছে মোট ২টি; আরেকটি ২০১৯ কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে।
ক্লাব ফুটবলে মেসির লাল কার্ডের সংখ্যা মাত্র ২টি। বার্সেলোনা, পিএসজি ও ইন্টার মায়ামি—তিন ক্লাব মিলিয়ে তাঁর ক্যারিয়ারে লাল কার্ড ৪টি, সব কটিই সরাসরি। হলুদ কার্ড পেয়েছেন ১০৩টি। কার্ডের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে ১৪ ম্যাচ।
কে এগিয়ে?
পরিসংখ্যান বলছে, ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডেও রোনালদোই এগিয়ে।
রোনালদো: ১৩ লাল, ১৬২ হলুদ কার্ড
মেসি: ৪ লাল, ১০৩ হলুদ কার্ড
গোলের মতোই কার্ডেও পিছিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা। দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শৃঙ্খলার খাতায় রোনালদোর নাম উঠেছে অনেক বেশিবার।