বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, জনকল্যাণমুখী যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা ব্যতিত দারিদ্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। শহীদী কাফেলা জামায়াতে ইসলামী যে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে তার মূলে রয়েছে ইসলামী অর্থনীতি ও যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা। মনগড়াভাবে লোক দেখানো যাকাত প্রদানের সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে এসে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। বিত্তবানদের উপর দরিদ্র মানুষের হক রয়েছে। আর সেই হক পরিশোধের প্রধান মাধ্যম হলো যাকাত। কিন্তু যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা না থাকায় সঠিকভাবে যাকাত আদায় হচ্ছেনা। ফলে দরিদ্র মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সামাজিক বৈষম্য আমাদের সমাজকে ক্রমশই দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সীমাহীন জুলুম নিপীড়ন উপেক্ষা করে দারিদ্র্য বিমোচনের মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী প্রতি বছর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গঠিত জনকল্যাণ তহবিল থেকে দরিদ্র মানুষের মাঝে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করে থাকে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি শুক্রবার স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াতের জনকল্যাণ তহবিল থেকে অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে সেলাই মেশিন ও শিক্ষা সহযোগিতা বাবদ নগদ অর্থ বিতরণকালে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও পুরুষের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি পরিবারের হাতে শিক্ষা সহযোগিতার নগদ অর্থ তুলে দেয়া হয়।
সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব ও ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, শিক্ষাবিদ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শাকুর, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা হাফিজ মশাহিদ আহমদ, মাওলানা আজিজুল ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান ও জুনায়েদ আল হাবীব প্রমূখ। বিজ্ঞপ্তি