টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ ছিল জনজীবন। শনিবার রাত ১১টায় শুরু হওয়া বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি আসে সিলেট নগরীর বাসিন্দাদের। কিন্তু ঘণ্টা যেতে না যেতে সেই স্বস্তির বৃষ্টি অভিশাপে রূপ নিয়েছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) রাত ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি একটানা চলে ১২টা পর্যন্ত। তারপর আবার থেমে থেমে শুরু হয় বৃষ্টি। এদিকে বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে পুনরায় পানিবন্দী হয়ে পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন নগরবাসী।
স্থানীয়রা জানান, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কারো উঠানে, কারও বাড়িতে এবং কারও ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। বাসা-বাড়ির আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় পাননি অনেকে। এতে বৃষ্টির পানিতে ভিজে এসব আসবাবপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সিলেট নগরীর উপশহর, মেন্দিবাগ, যতরপুর দরগা মহল্লা, আম্বরখানা, সাগরদীঘির পাড় লালদিঘিরপার, কুয়ারপাড়, জিন্দা-বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় হাঁটু পানি জমে গেছে। ফলে এসব এলাকার মানুষজন ও ব্যবসায়ীরা আবারও ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সিলেট নগরীর জিন্দা-বাজারের বই মার্কেট হিসেবে পরিচিত রাজা ম্যানশনে মুহূর্তেই হাঁটু-পানি উঠে যায়। এতে বেশ কয়েকটি দোকানের কয়েক লাখ টাকার বই পানিতে তলিয়ে যায়।
নগরীর রাজা ম্যানশন এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর বলেন, কী একটা বিপদের মধ্যে পড়েছি আমরা! ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে আমার দোকানে হাঁটুপানি হয়ে গেছে। কবে যে এ থেকে রেহাই পাব তা জানি না।
নগরীর মেন্দিবাগ এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত রায় দীপন বলেন, নগরবাসীর উচিত গাড়ি না কিনে নৌকা কিনে রাখা। ঘন্টাখানেক বৃষ্টি হলেই যেখানে হাঁটু অবধি পানি উঠে যায় সেখানে নৌকা কিনে রাখলে তার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
অপরদিকে এক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দোষারোপ করছেন নগর কর্তৃপক্ষকে। অনেকেই বলেছেন, ড্রেনেজ সিস্টেম যদি সঠিক সময় সংস্কার করে রাখা হতো তাহলে এই ভোগান্তি জনগণকে পোহাতে হতো না।
নগরীর মধুশহীদ এলাকার বাসিন্দা জায়েদ আহমদ রুবেল বলেন, শহর থেকে বন্যার পানি নামার সাথে সাথেই খাল, নালাগুলো পরিষ্কার করা হলে আজ এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না।