মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসার এসি বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের বুলি ফাঁটিয়ে বক্তব্য দেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের জনগণের কাছে এখনি ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করা উচিত। মনে রাখবেন জনগণের ঘরের বাতি না জ্বললে আপনার ক্ষমতার বাতিও নিভে যাবে।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জাগপা আয়োজিত ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠান ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশবাসীর জিজ্ঞাসা কারা গত দশ বছর ধরে বলেছেন দেশে বিদ্যুৎ ও জালানি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং রিজার্ভ আছে? কারা বলেছেন আমরা ২০২১ সালের পর বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবো? আজ কেন ২০২২ সালে সেই স্বৈরশাসকের দুর্নীতির কারণে দেশের ওপর অন্ধকার নেমে আসছে। কেন বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির দায় মসজিদ মাদ্রাসা, মার্কেট, শিল্প-কারখানার ওপর পড়েছে। মসজিদে দৈনিক গড়ে দুই ঘণ্টা এসি চলে আর মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় ২৪ ঘণ্টা এসি, ফ্রিজ চলে। তাই মসজিদ নয়, আপনাদের বাসার এসি বন্ধ রাখুন।
ব্যারিস্টার তাসমিয়া বলেন, উৎপাদনের খাত যখন আঘাতপ্রাপ্ত হয় তখন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়তে শুরু করে। এর কারণে সম্প্রতি নিত্যপণ্যসহ, বাস ভাড়া, বাসা ভাড়া, ওষুধের মূল্য, চিকিৎসা ব্যয় বাড়তে শুরু করেছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ যে খেলায় মেতেছে তার পরিণতি খুব খারাপ হবে। গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ মাত্র চার মাস চলতে পারে। তাহলে জনগণের ট্যাক্স, খাজনার টাকা কোথায় যায়? কেন বাংলার মানুষ শ্রীলঙ্কা, সিকিম, ভুটানের ভাগ্য বরণ করবে? সাধু সাবধান। অবিলম্বে গত ১০ বছরে বিদ্যুৎখাতে ব্যয় ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করুন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু মোজাফফর মো. আনাছ, আসাদুর রহমান খান, মো. নিজামুদ্দিন অমিত, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, ঢাকা মহানগর জাগপার সভাপতি আরিফ হোসেন ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক শেখ এনায়েত আহমেদ হালিম, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।