সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের কারণে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই কর্মচারীর মৃত্যু ঘটেছে। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২১ ও ২২ জুলাই) এ দুজনের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ১৫ জুলাই রাত ১০টার দিকে সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সফাত উল্লাহ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে সংরক্ষিত গ্যাস সিলিন্ডার কক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন অগ্নিদগ্ধ হন।
এ ঘটনায় নিহত দুজন হচ্ছেন- সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার নুরুল হক ও সিলেট কুমারগাঁও এলাকার সালেহ আহমদ। তারা দুজন সফাত উল্লাহ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী ছিলেন।
মৃত্যুর বিষয়টি শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান।
ওসি জানান, আমরা ঢাকার পুলিশ মাধ্যমে মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এখনও মৃতদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য আসেনি। বৃহস্পতি ও শুক্রবার- এই দুই দিনে দুজন মারা গেছেন। তবে এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।
এর আগে গত ১৬ জুলাই এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, ১৫ জুলাই রাত ১০টার দিকে সময় জালালাবাদ থানাধীন কুমারগাঁওস্থ তেমুখী পয়েন্ট সংলগ্ন সফাত উল্লাহ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে সংরক্ষিত গ্যাস সিলিন্ডারে ত্রুটির কারণে প্রচণ্ড শব্দ হয়ে আগুন ধরে যায়।
খবর পেয়ে জালালাবাদ থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় সফাত উল্লাহ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ৪ জন কর্মচারী অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া। এর মধ্যে নুরুল হক ও সালেহ আহমদ মারা যান।
এ বিষয়ে সফাত উল্লাহ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী হেলাল আহমদ বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। এই সময়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ফিলিং স্টেশন (সন্ধ্যাকালীন) বন্ধ ছিলো। ওই সময়ে একজন কর্মচারী সংরক্ষিত সিলিন্ডার রুমে ঢুকে মোবাইল ফোন চার্জে লাগায়। তখন বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ডে স্পার্ক করে এবং পাশেই একটি সিলিন্ডার লিকেজ থাকায় সেটিতে আগুন ধরে যায়।
দুজন কর্মচারীর মৃত্যুর বিষয়টি হেলাল আহমদও নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অগ্নিদগ্ধ চারজনকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার আমি বহন করেছি। এছাড়াও নিহত দুজনের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতাও প্রদান করেছি।