চালক অচেতন, অথচ গাড়ি চলছে দীর্ঘ সময় ধরে! কাণ্ড দেখে ভয়ে থমকে যান পথচলতি লোকজন। জরুরি পরিষেবা (ইমারজেন্সি) নম্বরে ফোন করে খবর দেন। জরুরি পরিষেবা দলের সদস্যেরা এসে ‘ভূতুড়ে’ সেই গাড়ি থামান।
উদ্ধার করেন জ্ঞানহীন চালককে। আশ্চর্যজনক ভাবে ওই যুবকের শরীরে চোট-আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। গাড়িটি কোনও রকম দুর্ঘটনায় পড়েনি বলেও জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। সম্প্রতি বেলজিয়ামের (Belgium) ল্যুভন শহরে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে।
ল্যুভন পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, গত ১৪ আগস্ট রাত ৯টা নাগাদ গাড়িটিকে খেয়াল করেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। যেটির চালক যে অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছে, তা ও চোখে পড়ে তার। দ্রুত ইমারজেন্সি নম্বরে ফোন করেন সেই প্রত্যক্ষদর্শী। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অচৈতন্য চালককে নিয়েই গাড়িটি ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা, তারপরও কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ যখন অচৈতন্য চালককে উদ্ধার করে, তখন তার শরীরে কোনও চোট বা আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এমনকি গাড়িটি অন্য কাউকে বা কিছুতে আঘাত করেছে বলেও জানা যায়নি।
কিন্তু কীভাবে সম্ভব হল এমন ঘটনা?
জানা গেছে, ওই গাড়িতে ছিল লেন অ্যাসিস্ট ও ক্রুজ কন্ট্রোল সিস্টেম। কোনওভাবে যা সক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। তার ফলেই অচৈতন্য চালকের গাড়ি প্রয়োজন মতো লেন বদল করে বেশ কয়েকবার। অর্থাৎ গাড়ির প্রযুক্তি সক্রিয় হওয়ায় আশ্চর্যজনক ভাবে বেঁচে যান যুবক, বেঁচে যান বহু পথচারীরাও। তবে ভাগ্যও সঙ্গ দিয়েছে, নয় তো ওইভাবে ২৫ কিলোমিটার পেরোনো সম্ভব ছিল না কোনোভাবেই।
কিন্তু যুবক অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন কীভাবে? তিনি কি নেশাগ্রস্ত ছিলেন? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি বেলজিয়াম পুলিশের তরফে। তবে তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
তবে একা গাড়ির ২৫ কিলোমিটার পাড়ি দেওয়াই এখন আড্ডা-আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ল্যুভনে।