সিলেট নগরীর শাহপরান থানার বালুচর এলাকা থেকে এক ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বালুচর এলাকার সেকান্দর মহলের বাসার তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় ঘরের ভেতর থেকে ওই নারীর প্রায় দুই বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে জীবিত উদ্ধার কর হয়। পরে ওই শিশুকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ওই নারীর নাম আফিয়া বেগমের (৩১)। আফিয়ার স্বামী ওমান প্রবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বালুচর এলাকার সেকান্দর মহলের পাঁচতলা বাসার নিচতলায় থাকতেন ওমান প্রবাসীর স্ত্রী আফিয়া বেগম। প্রায় দুই বছর আগে ওই বাসা ভাড়া নেন আফিয়া। মঙ্গলবার রাতে বাসার ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এতে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে তারা দেখতে পান আফিয়া বেগমের বাসার দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। এসময় ওই নারী মরদেহ খাটে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পাশেই অচেতন অবস্থায় পড়েছিল ওই নারীর শিশু কন্যা। কাছে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় শিশুটি নিঃশ্বাস নিচ্ছে। পরে পুলিশ দ্রুত শিশুটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাহির থেকে তালা দেওয়া দেখতে পাই। তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে খাটের ওপর ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। মরদেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পাশেই পড়েছিল তার শিশু সন্তান। কাছে গিয়ে দেখতে পাই শিশুটি নিঃশ্বাস নিচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাচ্চাটি এখনও জীবিত আছে।
‘মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা দুই-তিনদিন আগে ওই নারীকে হত্যা করেছে। তার হাতে শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ দেখা গেছে। কিন্তু মরদেহ গলে গিয়ে ফুলে বিভৎস আকার ধারণ করেছে। ওই অবস্থায় শিশুটি না খেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়েছিল।’
ওসি আরও বলেন, ‘বাসার দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখে মনে হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। তবে বাসায় চুরি-ডাকাতির কোনো আলামত মেলেনি। তাছাড়া ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কি-না, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া তাও এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
ওসি বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হা্সপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।’