আসছে ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে শুরু হচ্ছে ‘সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব’। পঞ্চমবারের মতো এবার এ উৎসবের পর্দা উঠতে যাচ্ছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী উৎসবটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের উৎসবে অনসাইট ও অনলাইন উভয় ধরনের কার্যক্রম রয়েছে।
এ আসরে বিভিন্ন বিভাগে ১১১টি দেশের ৩ হাজার ৬৫টি চলচ্চিত্র থেকে বাছাই করে ১০৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
প্রতিবারের মতো সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবে এবারও প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসব পরামর্শক ও চলচ্চিত্র বোদ্ধা প্রেমেন্দ্র মজুমদার। এছাড়া আশরাফ শিশির, অর্ণব মিদ্যা, সাদিয়া খালিদ রীতি, ওয়াহিদ ইবনে রেজা, মনোজ কুমার প্রামাণিক, সিদ্ধার্থ মাইতি ও মুক্তাদির ইবনে সালাম জুরি হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।
জানা গেছে, উৎসবের শুরুর দিন মুহাম্মদ কাইয়ুম পরিচালিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গবেষণাভিত্তিক তথ্যচিত্র নির্মাণ বিষয়ক একটি কর্মশালা, চলচ্চিত্র বিষয়ক মুক্ত আলোচনা ও সিলেটের সংস্কৃতি সংরক্ষণে চলচ্চিত্রের ভূমিকা শীর্ষক একটি অনলাইন আলোচনার আয়োজন রাখা হয়েছে । উৎসব শেষে ৯টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি সব্যসাচী নিলয় বলেন, দীর্ঘদিন পর সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে ফিরছি আমরা। নানান প্রতিকূলতাকে ঠেলে আমরা শেষ পর্যন্ত একটা সফল উৎসব আয়োজন করতে পারব বলে বিশ্বাসী।
গত ২৬ জানুয়ারি স্বল্পদৈর্ঘ্য (আন্তর্জাতিক) বিভাগে ৪৩টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য (বাংলাদেশ) বিভাগে ২৮টি, প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে ১৫টি, শিশু বিষয়ক চলচ্চিত্র বিভাগে ১০টি ও অ্যানিমেশন বিভাগে ১০টি চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছিল।
২০১৭ সাল থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে।
গত আসরে ১১২টি দেশ থেকে ৩০৬১টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জমা পড়ে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন থাকায় গত আসরে নির্বাচিত ১০৯টি চলচ্চিত্র অনলাইনে প্রদর্শিত হয় এবং দেশ-বিদেশের সিনেমা অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।