এবার এমসি কলেজ হোস্টেলেও ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোস্টেলের শহীদ শ্রীকান্ত ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। সোমবারের উত্তেজনার জের ধরে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী এক নেতার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।
সাধারণ ছাত্ররা জানান- সম্প্রতি এমসি কলেজের হোস্টেলে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। এ নিয়ে সোমবার রাতে হোস্টেলে কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে কয়েকজন বহিরাগতের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় রাসেল নামের বহিরাগত একজন ছুরি বের করে ছাত্রদের আঘাত করার চেষ্টা করলে ছাত্ররা তাকে ধরে উত্তম-মধ্যম দেন। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী এক নেতার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন বহিরাগত হোস্টেলের শহীদ শ্রীকান্ত ব্লকে ভাঙচুর চালায়।
খবর পেয়ে এমসি কলেজের প্রিন্সিপাল আবুল আনাম মো. রিয়াজ ও হোস্টেল সুপার জীবন কৃষ্ণ আচার্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং বহিরাগতদের বের করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও হোস্টেল সুপারে রিসিভি করেননি।
কলেজ প্রিন্সিপাল আবুল আনাম মো. রিয়াজ বলেন- হোস্টেলে যারা থাকে তাদের সঙ্গে অনকে সময় বহিরাগতরা এসে পড়ে। গতকাল (সোমবার) রাতে এ নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিলো একজনের। এর জের ধরে আজ (মঙ্গলবার) একটু উত্তেজনা হয়েছিলো। পরে সেটা আমরা মিটমাট করে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গায়ে ধাক্কা লাগার জেরে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মারামারি ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রাবাস শাহপরাণ হলে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক মো. শিপন মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভয়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিপন নামে এক ছাত্র আহত হন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়।
জানা যায়, দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ ক্যান্টিন থেকে খাবার নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পথে খলিলুর রহমানের সমর্থক শিপনের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে শিপন ও নাজমুলের মধ্যে প্রথমে বাগবিতন্ডা হয়। একসময় তারা হাতাহাতি ও মারিমারিতে জড়ায়। খলিলুরের সমর্থক শিপন ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে পরবর্তীতে তার গ্রুপের অন্য কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হলের নাজমুল হুদার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর করেন। এসময় হলে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয় এবং উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর হল প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।