সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আরজু খান নামে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী তার বাড়ীতে নিকটাত্মীয়কে থাকতে দিয়ে বিপাকে পরেছেন। বিশ্বাস করে থাকতে দিলে ওই নিকটাত্মীয়রা এখন বাড়ি ছেড়ে দেবার শর্তে মোটা অংকের টাকা দাবি করছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসীর ভাগ্নে ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মরহুম শুকুর খানের ছেলে আরজু খান এবং তাদের পরিবারের সকলেই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। পরিবারের মালিকাধীন দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের পুকিডহর গ্রামের পাকা বাড়িটিতে বসবাসের কেউ ছিল না। দরিদ্র নিকটাত্মীয় হরমান খানকে বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে বসবাস করতে দেন। একইভাবে দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামে প্রবাসী পরিবারের মালিকানাধীন ২৫ শতাংশ জমিতে চাচাতো ভাই হোসেন খান সাজুকে থাকতে দেন। মাসখানেক আগে আরজু খান দেশে আসবেন জানিয়ে বাড়িগুলো খালি করার দায়িত্ব দেন ভাগ্নে দুলাল মিয়াকে। হরমান খান ও হোসেন খান সাজু বাড়ি খালি করে দেবার শর্তে ৫ লাখ টাকা দাবী করেন। এ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে গত ৩১ আগস্ট হোসেন খান সাজু ও হরমান খানের নেতৃত্বে তাদের লোকজন প্রবাসীর পুকিডহর গ্রামের বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা বাড়ির বাউন্ডারি দেয়ালের উত্তর দিকের দুই স্থানে ও দক্ষিণ দিকের কিছু অংশ ভাংচুর করে।
ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, আমার মামা, খালারা সকলেই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। হরমান খানকে গ্রামের বাড়িতে ও হোসেন খান সাজুকে দিরাই শহরের বাড়িতে দয়া করে থাকতে দিয়েছিলেন। এখন তাদের বাড়িগুলো ছাড়তে বলায় টাকা দাবী করছে।
তিনি বলেন, প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করায় হোসেন খান সাজু তার লোক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে।
গ্রামের মুরুব্বি বুদুর উল্লা বলেন, হোসেন খান, নুর আলী, হাফিজ খানসহ ১৫/২০জন হেমার, শাবল দিয়ে আরজু খান লন্ডনীর বাড়ির বাউন্ডারি দেয়াল ভাঙ্গছে, এটা আমি দেখেছি।অভিযুক্ত হরমান খান বলেন, আরজু খানের কথায় আমি পুরোনো বাড়ি ভেঙ্গে তার বাড়িতে এসে বসবাস করছি। পাঁচ বছর ধরে আছি। এখন আমার ক্ষতিপূরণ দিলে আমি চলে যাব।হোসেন খান সাজুর বসবাসকৃত মজলিশপুরের জমির মালিক প্রবাসী আরজু খান বিষয়টি স্বীকার করে হোসেন খান সাজু বলেন, আমি জমির কাগজ-পত্র ঠিক করেছি। মাটি ভরাট করেছি। এখন যদি আমাকে চলে যেতে হয় লন্ডনী আমার সাথে আলোচনা করুক।প্রবাসী আরজু খান মুঠোফোনে বলেন, দরিদ্র নিকটাত্মীয় হিসেবে তাদেরকে আমি লাখ লাখ টাকা দিয়ে সহায়তা করেছি। কিন্তু তারাই অবশেষে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। আমরা গুরুত্বসহকারে বিষয়টির তদন্ত করছি।