চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন এলাকায় একশ্রেণীর মুনাফালোভী-অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল-মানহীন-স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর চা পাতা নির্বিচারে বিক্রি করে জনগণের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন রোড এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রুহুল আমিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করিয়া একটি দোকান থেকে ২০০ বস্তা ভেজাল চা পাতা জব্দ করেছেন। ওই দোকানের চা পাতার বস্তাসহ গোডাউন সীল গালা করা হয়।
চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল শহরের সোনা বাংলা রোডের তানভীর টি হাউসের স্বত্বাধিকারী সমর মিয়া দীর্ঘ দিন থেকে দেশের নামীদামী ব্র্যান্ড ফিনলে টি কোম্পানি, ভারতীয় চা ব্র্যান্ড কলকাতা টিসহ বিভিন্ন নামীদামী ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে চা পাতা বাজারজাত করে আসছেন। এসময় গোডাউনের ভেতরে নকল মোড়ক, মেশিনসহ সব ধরনের উপকরণ পাওয়া যায়। গোডাউনের ভেতর প্রায় দুই শতাধিক চা পাতার বস্তা জব্দ করা হয়েছে। এসব চা পাতা দেশের চা পাতা নয় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এসব চা পাতার বস্তার মধ্যে অধিকাংশ নিম্নমানের, মেয়াদ উত্তীর্ণ। গোডাউনের ভেতরে ঢুকে মনে হয়েছে এ যেন একটি আস্তা চা ফ্যাক্টরি। অথচ এর ভেতরে এত ভেজাল হয় তা কেউ বুঝতে পারেনি এত দিন। আজ শুক্রবার এসব জব্দকৃত চা পাতা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। গোডাউনে চা পাতার মূল প্রকৃত মালিক সমর মিয়াকে পাওয়া না গেলেও তার ছোট ভাই জব্বর আলীকে ঘটনাস্থলে ছিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) পরিচালক ইসমাইল হোসেন, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) পরিচালক ড. একে এম রফিকুল হক, শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ছিলেন।
এ ব্যাপারে চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রুহুল আমিন জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সময় মিয়ার গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করি। এসময় ফিনলে টি কোম্পানিসহ দেশের নামীদামী ব্র্যান্ডের নকল মোড়ক, মেশিন ও আরও বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করেছি। চা পাতা দেখে মনে হচ্ছে এগুলো দেশীয় চা পাতা নয়। বৃষ্টির কারণে অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি। চা পাতার গোডাউন সীলগালা করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার যাচাই-বাছাই করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।