আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)-এর ছুটি। পরের দুদিন (শুক্র-শনিবার) সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি। টানা ৩ দিন ছুটি পেয়ে সিলেটে প্রচুরসংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে।
কারণ- এই তিন দিনের জন্য সিলেটের ৯০ ভাগ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট বুকিং করে রেখে দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা।পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন- ছুটির সুযোগে আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার- এই তিন দিনে সিলেটে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটবে।
সিলেটের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে সিলেটের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো বুকিং দিয়ে রাখছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন। রবিবারের (২৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যেই সিলেটের প্রায় ৯০ ভাগ হোটেল-মোটেলের থাকার কক্ষগুলো বুকিং করে রেখে দিয়েছেন পর্যটকরা। সোমবারও তারা যোগাযোগ করলেও বেশিরভাগকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। উন্নতমানের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো প্রায় শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। খালি রয়েছে কিছু নিম্ন ও মধ্যমানের হোটেলকক্ষ।
সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভপতি জনাব হুমায়ুন কবির বলেন- গত দুই সপ্তাহে সিলেটের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোর প্রায় ৯০ ভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। ছুটির তিন দিনে সিলেটে লাখো পর্যটক সমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি সিলেটের পর্যটন খাতের জন্য খুবই ইতিবাচক। করোনাকালীন ৩ বছরের ক্ষতি পুষাতে কিছুটা সহায়ক হবে এই তিন দিনের পর্যটক সমাগম।
তিনি বলেন- এই সময়ে সিলেটে বেশিসংখ্যক পর্যটক সমাগমের কারণ হচ্ছে- আগামী নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি- এই ৩ মাস নির্বাচনী মাঠ গরম থাকবে। নানা আশঙ্কায় পর্যটকরা বেশি বাইরে বের হতে চাইবেন না। তাই এখন সুযোগ পেয়ে তারা ছুটছেন পর্যটন স্পটগুলোতে। আর পর্যটকদের তো প্রধান আকর্ষণ পাহাড়-ঝর্ণা-হাওরের অঞ্চল সিলেট। তাই আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার- এই তিন দিন সিলেটে প্রচুরসংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটবে।
পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট রিজিওনের এসপি মো. বেলাল হোসেন সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গনমাধ্যম-কে বলেন- সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন ছুটির সময় সিলেটে পর্যটকদের ভিড় থাকে। এসব দিনে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিলেটে বিশেষভাবে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আগামী তিন দিনও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না। স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়েও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সচেষ্ট থাকবো। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিবো আমরা।