বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল মেয়েটি (১৩)। সেখান থেকে বান্ধবীর ভাইসহ দুই যুবক তাকে অন্য এক জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যান। ফেরার পথে সন্ধ্যায় নির্জন বনের ভেতর মেয়েটিকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে ফেলে যান। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বারেকের টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক শামীম আহমেদের (২৬) বাড়ি জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সুলকাবাদ ইউনিয়নে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ভুক্তভোগী মেয়েটির বাড়ি সদর উপজেলায়। মেয়েটির পরিবার দরিদ্র। বাবা শ্রমিক।
পুলিশ জানায়, মেয়েটির এক বান্ধবী আছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাঘবেড় গ্রামে। বান্ধবীর বাড়িতে যাতায়াতের সুবাধে মেয়েটির সঙ্গে বান্ধবীর ভাই হৃদয় আহমদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতকাল সোমবার মেয়েটি বান্ধবীর বাড়িতে গেলে হৃদয় আহমদ বেড়ানোর কথা বলে তাকে তাহিরপুর উপজেলার বারেকের টিলায় নিয়ে যান। এ সময় তাঁদের সঙ্গে হৃদয়ের আরও দুই বন্ধু ছিলেন। তাঁরা ওই এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। ফেরার পথে টিলার এক নির্জন জঙ্গলে তিনজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরে কাউকে এ বিষয়ে কোনো কিছু না বলতে মেয়েটিকে ভয় দেখানো হয়। এরপর রাতে মোটরসাইকেলে করে তাকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের রাধানগর এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। মেয়েটিকে রাস্তায় অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন সদর থানা–পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার কাছ থেকে সব শুনে বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর থানা–পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি শ্যামল দেব বলেন, পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে মঙ্গলবার দিনভর একাধিক দলে ভাগ হয়ে অভিযান চালায়। পরে ঘটনায় জড়িত শামীমকে আটক করা হয়। এরপর মেয়েটিকে নিয়ে ঘটনাস্থল বারেকের টিলায় যান তাঁরা। এখন আটক ব্যক্তিকে তাহিরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি কাজী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মেয়েটিও থানায় আছে। থানায় এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’