হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চার কিলোমিটার খানাখন্দে ভরপুর। প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। বাস-ট্রাকের জন্য এ রাস্তাটি তেমন ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও ছোট যানবাহনের জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কে সৃষ্টি হওয়া এসব বড় বড় খানাখন্দে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের বিটুমিন (পিচ) আর পাথর উঠে ছোট, বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক বিভাগ থেকে মাঝে মধ্যে সংস্কার করা হলেও সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো ভালো হচ্ছে না। সংস্কারের এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটুকুতে সুনজর নেই কর্তৃপক্ষের।
উপজেলার নূরপুর এলাকার বাসিন্দা মাহফুজ খন্দকার বলেন, মোটরসাইকেলে এই চার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হিমশিম খেতে হয়। মাঝেমধ্যে গর্তে চাকা পড়ে গাড়ি উল্টে যায়।
শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, মহাসড়কের ওই গর্তগুলো যেন মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাফেরা করতে হয়।
হবিগঞ্জ-ঢাকা সড়কে চলাচলকারী মডার্ন বাসের চালক বদরুল হোসেন দুলাল বলেন, অনেকদিন ধরে মহাসড়কের করুণ দশা। সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নাই। ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাচ্ছি। কোন সময় যে দুর্ঘটনায় পড়ি ভয়ে ভয়ে থাকি।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ও জনপথের (আরঅ্যান্ডএইচ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ রায়হান আকবর বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করনের লক্ষ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। মহাসড়কের সংস্কার কাজেও এ প্রজেক্ট ধরা আছে। ওই ঠিকাদারই সংস্কার কাজ করবেন। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি উনারা কাজ শুরু করবেন।