‘অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না খাজা টাওয়া‌রে’

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১ বছর আগে
  • Print

রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

মাইন উদ্দিন জানান, খাজা টাওয়ারের আগুন সন্ধ্যা সা‌ড়ে ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, খাজা টাওয়ারে কোনো সেফটি প্ল্যান ছিল না। ভবনটিতে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। এখনো আগুনের ফ্লেম আছে যার জন্য আগুন জ্বলছে। ভবনটিতে ব্যাটারি আছে, স্টোরস, ক্যাবেল, সুইচেস, আইসোলেসন ফোম। ভবনের ১২ ও ১৩ তলাতে ইন্টেরিয়র দিয়ে খুব সুসজ্জিত করা। যা আগুনের বিশেষ উপাদান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আরও সময় লাগবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আগুন আমাদের কন্ট্রোলে আছে তবে নির্বাপণ করতে সময় লাগবে।

ভবনের কয়তলা থেকে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, আগুন লাগার দুটি মত আছে। কেউ বলছেন, চারতলা থেকে ৯, ১০ ও ১১ তলায় দ্রুত ছড়িয়ে গেছে। আবার কেউ বলছে ১১তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে যখন আমরা তদন্ত শেষ করবো তখন বলা যাবে কোথা থেকে এবং কি কারণে আগুনের সূত্রপাত। আপাতত মনে হচ্ছে, কোনো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়তো আগুন লেগেছে।

তিনি বলেন, বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের সামনে আমাদের একটি টহল গাড়ি ছিল। খবর পেয়ে ৫টা ৭ মিনিটের দিকে আমার প্রথম গাড়ি উপস্থিত হয়। এরপর একে একে ১১টি আগুন নিয়ন্ত্রেণে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক তিনটি সর্বোচ্চ টিটিএল ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় দেড় শতাধিক ফায়ার ফাইটার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাজ করে। সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারসহ সবাই আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।

মাইন উদ্দিন বলেন, ৫টা ৭ মিনিট থেকে যখন আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হয় তখন আগুন বাইরে তেমন একটা ছিল না। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন আমাদের কন্ট্রোলে চলে আসে। কিন্তু অনেক সময় নেয়া লাগে একজন মানুষকে উদ্ধার করার জন্য। কারণ ১৩ তলায় যে অফিস ছিল সেটি কম্পার্টমেন্ট ছিল। যার কারণে আগুন নিভাচ্ছি কিছুক্ষণ পর আবার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে। এ পর্যন্ত আমরা ১০ জনকে উদ্ধার করেছি। দুজন লাফিয়ে পড়েছিল তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তে একজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছি।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে মহাখালী আমতলী সংলগ্ন খাজা টাওয়ারে ১৪ তলা ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগে। এরপর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট টানা কাজ করে। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার বলছেন, তারা ভবনটি থেকে ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন।

এদিকে এই ঘটনায় হাসনা হেনা নামের এক নারী ভবনটির নবম তলা থেকে নামতে গিয়ে ওপর থেকে পড়ে মারা গেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও নিউজ