যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই হয়

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: ৫ এপ্রিল ২০২১, ৪:২১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে
  • Print

দাম্পত্য জীবনের শুরুতে প্রিয় সঙ্গীকে প্রায় সবার কাছেই প্রাণের চেয়ে প্রিয় মনে হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রিয় শব্দটি তার জায়গা বদল করে, অন্য কোনো সঙ্গী খুঁজতে ব্যস্ত হয় অনেকের জীবনেই।

ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই হয়, তবে কিছু আইন সম্পর্কে জেনে নেওয়াই ভালো। কারণ অন্যের স্বামী বা স্ত্রী বিয়ে করে আইনের চোখে অপরাধী হয়ে যেতে পারেন।  
 

দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে দণ্ডবিধি আইনের ৪৯৪ ধারায় বিস্তারিত বর্ণনা ও প্রতিকার রয়েছে: 

এ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এক স্বামী বা এক স্ত্রী জীবিত থাকা সত্ত্বেও পুনরায় বিয়ে করেন, তাহলে দায়ী ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।  

তবে যে প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, বিয়ের সময় পর্যন্ত সে স্বামী বা স্ত্রী যদি সাত বছর পর্যন্ত নিখোঁজ থাকেন এবং সেই ব্যক্তি বেঁচে আছেন বলে কোনো সংবাদ না পান, তাহলে এ ধারার আওতায় তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবেন না।  

মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১-এর ৬ ধারা মতে, দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে সালিশি পরিষদের কাছে অনুমতি না নিলে বিয়ে নিবন্ধন হবে না।
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে ও তার ভরণপোষণ না দেওয়া একটি ফৌজদারি অপরাধ। আর তাই প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে অবৈধ বলে গণ্য হবে।  

এ অবস্থায় প্রতিকার পেতে প্রথম স্ত্রী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দণ্ডবিধি আইন-১৮৬০-এর ৪৯৪-এর বিধানমতে মামলা করতে পারেন।  এ সময়  স্বামী দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা আদালতে দেখাতে হবে। স্বামীর অপরাধ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

সন্তান থাকলে তার ভরণপোষণ দিতেও স্বামী বাধ্য। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ চেয়ে মামলা করতে পারেন প্রথম স্ত্রী।  
এছাড়া কোনো নারীর যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে হয়, তবে অবশ্যই প্রথম স্বামীর সঙ্গে আগে তালাক হতে হবে।  

প্রতিটি বিয়ের সময় কাবিন রেজিস্ট্রি করতে হবে ও বিয়ের কাবিননামার কপি নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করার জরুরি।  মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪-এর ধারা-৫(৪) অনুসারে, বিয়ে নিবন্ধন না করলে এর জন্য দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৩ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যায়।  

বিয়ের সময় আইনে বর্ণিত উপযুক্ত বয়স পাত্রের ২১ এবং কনের ১৮ বছর হতে হবে।  এর কম বয়স হলে ‘বাল্যবিয়ে’ বলে ধরা হবে, যা বেআইনি।   

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও নিউজ