করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কেনিয়া ও ফিলিপাইনের নাগরিকদের ব্রিটেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে শুক্রবার বিবিসি জানায়, ৯ এপ্রিল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
সেখানে আরও বলা হয়, উল্লেখিত সময়ের আগের ১০ দিনে যেসব যাত্রী এই দেশগুলো থেকে যাত্রা শুরু করেছে কিংবা ট্রানজিট করেছে তাদের ব্রিটেনে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে ব্রিটিশ সরকারের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
তবে যাদের ব্রিটিশ বা আইরিশ নাগরিকত্ব রয়েছে এবং যাদের যুক্তরাজ্যে আবাসনের অধিকার রয়েছে তারা প্রবেশ করতে পারবেন। তাদেরও সরকার অনুমোদিত কোন হোটেলে ১০ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো- অ্যাঙ্গোলা, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, বতসোয়ানা, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, চিলি, কলম্বিয়া, গণতান্ত্রিক কঙ্গো, ইকুয়েডর, অ্যাসওয়াতিনি, ইথিওপিয়া, ফরাসি গায়ানা, গায়ানা, কেনিয়া, লেসোথো, মালাউই, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, ওমান, পাকিস্তান, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, কাতার, রুয়ান্ডা, সেশেলস, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুরিনাম, তানজানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে।
এ দিকে বৃহস্পতিবার করোনা মহামারীর অবনতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোসহ আরও ১২টি দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই তালিকায় নেই যুক্তরাজ্যের নাম।
এসব দেশ থেকে ৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো যাত্রীকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
ইউরোপের দেশগুলো থেকে এই সময়ের মধ্যে কেউ বাংলাদেশ আসতে পারবে না।
অন্য ১২টি দেশ হলো আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলে, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও উরুগুয়ে।