লকডাউন বাড়বে কিনা সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: ৫ এপ্রিল ২০২১, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে
  • Print

কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃ’ত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারাদেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। লকডাউন চলাকালে জরুরি কাজের জন্য সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রয়েছে। তবে পরবর্তী লকডাউনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইস’লাম।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভা’র্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইস’লাম।

সারা দেশে চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইস’লাম বলেন, দেখি আম’রা সাত দিন পর কী’ অবস্থা হয়। বৃহস্পতিবার আম’রা রিভিউ করব ইনশাআল্লাহ। মানুষকে তো কো-অ’পারেট করতে হবে। আপনারা তো বলছেন। সবাই যদি একটু মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তবে তো অ’সুবিধা হওয়ার কথা নয়।

করো’নাভাই’রাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে আগামী সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এ দফায় আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত থাকবে এই লকডাউন।

রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে থেকে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত বছরের ৮ মা’র্চ দেশে যখন প্রথম করো’না রোগী শনাক্ত হয় তখনই নড়েচড়ে বসে সরকার। এরপর ১৮ মা’র্চ প্রথম মৃ’ত্যুর খবরের পর করো’না পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুতই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত বছরের ২৬ মা’র্চ থেকে শুরু হওয়া সেই ছুটি ৩১ মে পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এক বছর পর সংক্রমণ মোকাবিলায় আবারও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিল সরকার। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে দেশজুড়ে সোমবার সকাল ৬টা থেকে এক সপ্তাহের জন্য শুরু হয় লকডাউন।

এ সময় মানুষের কাজ ও চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে করা হবে। জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ থাকবে। চলবে না কোনো গণপরিবহন। অভ্যন্তরীণ পথে উড়বে না উড়োজাহাজও। বন্ধ থাকবে যাত্রীবাহী ট্রেনও।

লকডাউন চলাকালে জরুরি কাজের জন্য সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ব্যবস্থায় কর্মীদের অফিসে আনা-নেওয়ার নির্দেশনা সরকারের। একইভাবে শ্রমিকদের আনা-নেওয়ার শর্তে শিল্পকারখানা ও নির্মাণকাজ চালু রাখা যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে জে’লা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জো’রদার করবে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বি’রুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও নিউজ