সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন উপায়ে স’ম্পর্ক তৈরি করতেন তাঁরা। এরপর কখনো কানাডায় চাকরির প্রলো’ভন, কখনো মূল্যবান উপহারসামগ্রী পাঠানোর নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। কাউকে ‘টার্গেট’ করার পর চক্রটি বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্ধুত্ব গড়ে তুলত।
চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে বিভিন্ন ফির বাহানায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় করছিল চক্রটি।
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির অ’ভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে চক্রের তিনজনকে গ্রে’প্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু’লিশ (ডিবি)। গ্রে’প্তার তিনজন হলেন মো. কবির হোসেন, শামসুল কবীর ও ইয়াছিন আলী। তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ২৫৭টি, ডেবিট কার্ড ২৩৪টি, মুঠোফোন ৮টি ও ১১টি সিম কার্ড জ’ব্দ করা হয়। তাঁদের বি’রুদ্ধে কদমতলী থা’নায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মা’মলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি। সেখানে ঢাকা মহানগর পু’লিশের অ’তিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, ড্রিম জবস ইন কানাডা নামে প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতারণা করছিল। চাকরির প্রলো’ভনের পাশাপাশি উপহার পাঠানোর কথা বলে অর্থ আদায় করছিল তারা। এখানেই শেষ নয়। বিদেশ থেকে আসা কথিত উপহারসামগ্রী বিমানবন্দর থেকে ছাড়িয়ে আনতে কাস্টমস কর্মক’র্তা পরিচয়ে ফোন করে অর্থ আদায় করত তারা।
চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ আদায় করছিলেন জানিয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, ভিন্ন ভিন্ন নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হচ্ছিল। এসব হিসাবধারী কমিশনের বিনিময়ে নিজের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলতে থাকেন এবং ঘন ঘন বাসা ও মুঠোফোন নম্বর পরিবর্তন করেন।
ডিবি কর্মক’র্তারা জানান, গ্রে’প্তার কবীর হোসেনের কাজ ছিল অর্থ সংগ্রহ করে ‘বসের’ হাতে পৌঁছে দেওয়া। কবীর হোসেনের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন ইয়াসিন। আর শামসুল কবীর হলেন ব্যাংক হিসাবধারী। তাঁরা সবাই মাসিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতনে বিভিন্ন স্তরে কাজ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তবে এখনো বসকে শনাক্ত করা যায়নি।