সেই কর্মকর্তা বলেন, ভারতের হয়ে যেখানে ২০২০ সালে কোহলি মাত্র ৮টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন, সেখানে আইপিএলে আরসিবির হয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলেন তিনি। তাঁর যুক্তি ছিল, কোহলি ভারতের টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেও যেহেতু টেস্ট ও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে থাকছেন, আইপিএলেও আরসিবির নেতৃত্ব ছাড়ছেন না, তাহলে চাপ আর কতটুকুই বা কমছে!
জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেও টুইটে লেখেন, তাঁর ধারণা ছিল ভারতের টি–টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়ার পাশাপাশি কোহলি আইপিএলের নেতৃত্বও ছেড়ে দেবেন, যা তাঁকে আগামী দুই মাসের জন্য নেতৃত্বের চাপ থেকে মুক্তি দিত।
এসব কথা কোহলির কানে হয়তো গেছে। সে কারণেই কি না, কাল বেঙ্গালুরুর টু্ইটারে একটা ভিডিও দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মৌসুমে আইপিএলের অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে জানাতে চাই, অধিনায়ক হিসেবে আরসিবিতে এটাই আমার শেষ মৌসুম। আজ বিকেলেই (গতকাল) দলের সবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি বেশ কিছুদিন ধরে এ সিদ্ধান্তটা নিয়ে ভাবছিলাম।’
তাঁর এই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারটি দায়িত্ব ভার কমিয়ে নিয়ে আসার ধারাবাহিকতারই অংশ বলে জানিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন ‘কিছুদিন আগে আমি ভারতের টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছি। এটা করেছি, যাতে বহু বছর ধরে আমার ওপর চেপে থাকা দায়িত্বের ভার কিছুটা কমে। আমার ওপর যে দায়িত্ব আছে, সেটা আমি ভালোভাবে পালন করতে চাই। নিজেকে তরতাজা রাখতে চাই, মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী থাকতে চাই।’
অধিনায়কত্ব না করলেও ভবিষ্যতে আরসিবিতে তিনি থাকবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আরসিবি সামনে আরও কিছু বদলের মধ্য দিয়ে যাবে। বড় নিলাম আসছে। তবে আমি এ দলের বাইরে নিজেকে কল্পনাও করতে পারি না। প্রথম দিন থেকেই আমি আরসিবির প্রতি দায়বদ্ধ।’
আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে মোটেও সফল নন কোহলি। আরসিবিকে একবারও এনে দিতে পারেননি আইপিএলের শিরোপা। তাঁর অধীন একবারই ফাইনালে খেলেছে আরসিবি। ২০১৬ সালে এসে খেলে প্রথম প্লে-অফ। আরসিবির অধিনায়ক হিসেবে আগে থেকেই যথেষ্ট সমালোচিত ছিলেন তিনি।