মুখ দেখানোতে আপত্তি : ছবির বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্টের দাবি

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২২, ১:৪৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২ বছর আগে
  • Print

 

পর্দাশীল নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দাশীল নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।

তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দাশীল নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।

পর্দাশীল হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন-ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।

তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দাশীল নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ ও মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও নিউজ