ঢাকার ধামরাইয়ে আষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর জোর করে ইয়াবা খাইয়ে ধর্ষণ করেছে এক দুর্বৃত্ত। শিপন আহম্মেদ (২১) নামের ওই ধর্ষক কিশোরীকে চারদিন আটকিয়ে রেখে প্রতিদিনই ইয়াবা সেবনে বাধ্য করে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
অভিযুক্ত শিপন আহম্মেদ ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের মাকরখোলা গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তারা বর্তমানে কালামপুর হারুণ জেনারেল হাসপাতালের পিছনে বাড়ি করে বসবাস করছে।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবার জানায়, গত ১৬ মার্চ সকালে আমাতন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। সেখান থেকে শিপন তার বন্ধুদের সহযোগিতায় তাকে তুলে নিয়ে বাসনা গ্রামের অটোরিকসা চালক মোঃ মনির হোসেনর বাড়িতে নিয়ে রাখে। এরপর তাকে জোর করে ইয়াবা খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়। এভাবে তাকে চারদিন আটক রেখে ইয়াবা সেবনে বাধ্য করে কয়েকবার ধর্ষণ করা হয় বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, মেয়ে নিখোঁজের পর ওই রিকসা চালকের সাহায্যে তার পরিবার কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে ধর্ষক শিপনের বাড়িতে দফায় দফায় মিমাংসারও চেষ্টা করা হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারকে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে এ ঘটনার আপসের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কিশোরীর পরিবার তা মানতে নারাজ।
এই বিষয়ে মেয়ের বাবা বলেন, আমার মেয়েকে অপহরণ করে চারদিন আটকিয়ে রেখেছিল শিপন। সুতরাং মেয়েকে শিপনের বিয়ে করতে হবে। এছাড়া আপস করবেন না বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত শিপনের মা জানান, আমার স্বামী বিদেশ থাকে। আমি ছেলেকে বিয়ের কথা বলেছি, কিন্তু ছেলে রাজি হয় না। সে বলে টাকা দিয়ে মিমাংসা করতে। তাহলে আমি কি করবো।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার (এসআই) মোঃ তৈমুর বলেন, মেয়ে নিখোঁজের পর পরিবার থানায় জিডি করেছিল। কিন্তু মেয়েকে পেয়ে মেয়ের বাবা জিডি প্রত্যাহার করেছেন।
কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিব।