
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ভয়াবহ বোমা হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কোয়েটায় ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) সদরদপ্তরের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাটি মুহূর্তেই পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়, আশপাশের ভবনের জানালাও ভেঙে যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, কোয়েটার মডেল টাউন থেকে হালি রোডে প্রবেশের সময় বিস্ফোরকবোঝাই একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের শক্তিতে আশেপাশের দোকানপাট, গাড়ি ও ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে এবং অভিযানে চার সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।
বেলুচিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বখত মুহাম্মদ কাকার জানান, নিহত ও আহতদের কোয়েটার সিভিল হাসপাতাল এবং ট্রমা সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিস্ফোরণের পর প্রদেশজুড়ে সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন,
“এটি একটি সুস্পষ্ট সন্ত্রাসী হামলা। পাকিস্তানি জাতির মনোবল দুর্বল করতে এ ধরনের কাপুরুষোচিত হামলা সফল হবে না।”
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিও এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন,
“ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসীরা এই হামলার পেছনে রয়েছে। পাকিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে তাদের ষড়যন্ত্র কোনোদিন সফল হবে না।”
বেলুচিস্তান স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, সিভিল হাসপাতাল, বেলুচিস্তান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারে বিশেষ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে হামলার পর কোয়েটা শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নতুন চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।