
ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশন লিমিটেড বিরুদ্ধে কাঁচামাল সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধ না করা এবং মহাসড়কের সড়ক সংস্কারে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরবরাহকারীরা মাসের পর মাস বকেয়া টাকা পেয়ে যাচ্ছেন না, ফলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর, প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা পাওনার দাবিতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এ আর এন্ট্রারপ্রাইজ তমা কন্সট্রাকশন লিমিটেডের ঊনিশমাইলস্থ কার্যালয়-ইয়ার্ডের প্রধান ফটকে তালা দিয়েছেন। তারা বারবার লিখিত নোটিশ ও বৈঠকের মাধ্যমে টাকা আদায়ের চেষ্টা করলেও সফল হননি।
মহাসড়কের গোয়ালাবাজার এলাকায় ডাবল ইট সলিং করা হলেও, অন্যান্য অংশে বড় বড় গর্ত এবং খানা খন্দ রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বালি-পাথর ও সিমেন্ট মিশিয়ে খানা ভরাট করছে, যা বৃষ্টির দিনে পানি জমে থাকার এবং শুকনো দিনে ধুলা উড়ার কারণে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও পথচারীদের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করছে।
ব্যবসায়ী মো. মিলন মিয়া বলেন, “সড়কে খানা খন্দের কারণে বৃষ্টি হলে কাদা জমে এবং রোদে ধুলা উড়ে ব্যবসায় ও চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।”
প্রকল্পের ম্যানেজার উদয়ন চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও এমডি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আর্থিক সমস্যা থাকায় সরবরাহকারীদের টাকা দিতে দেরি হচ্ছে। গোয়ালাবাজারের সংস্কার কাজ বৃষ্টির কারণে করা যাচ্ছে না; শুকনো সময়ে ১৫–২০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।
রুট: শেরপুর টোলপ্লাজা থেকে কাশিকাপন বাজার, ১৪.১ কিমি
কাজের মেয়াদ: ৪ বছর, ব্যয় ৮৪৩ কোটি টাকা
রক্ষণাবেক্ষণ: ৬ বছর, ব্যয় ৫৬ কোটি টাকা
প্রকল্পের শুরু: ২০২৩ সালের ১ মার্চ, শেষ হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ২০২৭
সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কাজ চললেও বিভিন্ন আর্থিক ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জটিলতা প্রকল্পকে প্রভাবিত করছে।