
নেপালের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রেসিডেন্ট ভবনে শপথ নেন সুশীলা কার্কি। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট রাম সহায় যাদব, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল।
শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি আগামী বছরের ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির জন্য সুপরিচিত কার্কি ব্যাপকভাবে সমাদৃত এবং জেন জি আন্দোলনের সমর্থন পাওয়ায় তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি বিভিন্ন মন্ত্রীর পদে নিয়োগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে নতুন সরকারের সামনে একাধিক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে রয়েছে—
দেশের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার
ক্ষতিগ্রস্ত সংসদ ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার পুনর্নির্মাণ
জেন জি আন্দোলনের দাবি পূরণ
সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা
দেশে চলমান অনিশ্চয়তা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিন দিনের টানা বিক্ষোভের পর পতিত হয় প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সরকার। এরপর জেন জি আন্দোলনের নেতারা সমঝোতায় পৌঁছে সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করেন।
সব মতপার্থক্য পেরিয়ে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন, যা নেপালের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।