দীর্ঘ সাত বছরের বিরতির পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবারও সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাচ্ছেন। আগামী ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তিনি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা এই সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানান, যা তিনি গ্রহণ করেছেন।

সমাবেশটি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে এবং এটি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বেলা দুইটায় শুরু হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সমাবেশে অংশ নেবেন।

খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের একটি সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির দুই মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান তিনি। সেই থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর মুক্তির মেয়াদ নবায়ন করে আসছিল সরকার।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট খালেদা জিয়ার মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁর মুক্তির বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, ‘সমাবেশে সারা দেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করবেন। এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর খালেদা জিয়া এবার ২১ ডিসেম্বর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নেবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘ সাত বছর পর জনসমক্ষে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন।’