
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ উদ্দেশ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আতশবাজি এবং পটকা ফোটানোর কারণে বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত শব্দদূষণের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং মানসিক চাপের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। অন্যদিকে, ফানুস উড়ানোর কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে এই ধরনের কার্যক্রম আইনত দণ্ডনীয়। প্রথমবার আইন লঙ্ঘন করলে এক মাসের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তি হতে পারে। পুনরায় একই অপরাধ করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে।
জনস্বার্থ রক্ষায় পরিবেশ মন্ত্রণালয় ঢাকার ক্লাব এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে দাবি তুলেছে।
পরিবেশ রক্ষায় এবং জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নববর্ষ উদযাপনের বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপায় যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা কমিউনিটি গেট-টুগেদার আয়োজন করে এই ক্ষতিকর প্রভাবগুলো এড়ানো সম্ভব।