সিলেটের জিন্দাবাজারে অবস্থিত আল-হামরা শপিং সিটির নূরানী জুয়েলার্স থেকে লুট হওয়া ২৫০ ভরি স্বর্ণের একটি অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ও উদ্ধার অভিযানের বিবরণ
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার কুমিল্লার মুরাদনগর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার সকালে মুরাদনগরের নেয়ামতপুর এলাকা থেকে মো. নজরুল ইসলামের ছেলে ওছেক মিয়া ওরফে ওয়াছেক ওরফে আলমগীর (২৫) কে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার কুমিল্লার হোমনা বাজারে অভিযান চালিয়ে রাজমাতা স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক সোহেল দেবনাথ (৪২) ও হোমনা থানার শ্রীমতি পূর্বপাড়ার মৃত সোনা মিয়া সিকদারের ছেলে আবুল হোসেন (৫৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণ
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে নূরানী জুয়েলার্স থেকে লুট হওয়া ৫ ভরি ১২ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার পটভূমি
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি রাত ৯টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা আল-হামরা শপিং সিটির ৪র্থ তলায় অবস্থিত নূরানী জুয়েলার্স থেকে ২৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন দোকানের মালিক দেওয়ান জাভেদ চৌধুরী।
তদন্তের অগ্রগতি
পুলিশ জানায়, চুরি হওয়া বাকি স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকদের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করার পরামর্শ দিয়েছে।