আজ রবিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চীনা রসুন পাচার: অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ

  • আপডেট টাইম : জানুয়ারি ২১, ২০২৫ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

 

চীনের রসুনে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান থাকার অভিযোগ উঠেছে। ভারতের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনা রসুনে ব্যবহৃত নিম্নমানের সার এবং রাসায়নিক পদার্থ লিভার ও কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মিথাইল ব্রোমাইড নামক কীটনাশক ব্যবহারের ফলে রসুনে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালিসিনের মাত্রা কমে যায়। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে চীনা রসুনের চাহিদা কমছে।

বাংলাদেশ বৈধ পথে চীন থেকে ডলারে রসুন আমদানি করছে। তবে এসব রসুনের একটি বড় অংশ সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতে পাচার হচ্ছে। বিজিবি প্রায় প্রতিদিনই চোরাচালান রোধে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ রসুন জব্দ করছে।

রসুন পাচারের কারণে বাংলাদেশের বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। সিলেটের কালীঘাট আড়তে গত তিন সপ্তাহে রসুনের দাম কেজি প্রতি ১৬০-১৭০ টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ডলারে কেনা রসুন পাচার হওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম চীনা রসুনকে ‘বিষাক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা রসুনে থাকা রাসায়নিক পদার্থ লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। ভারতের স্থানীয় বাজারে দেশি রসুনের দাম বাড়লেও চীনা রসুনের অর্ধেক দাম ভারতীয় বাজারে এর চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছে।

১. চোরাচালান রোধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো।
২. চীনা রসুন আমদানির পরিবর্তে দেশি রসুন উৎপাদনে জোর দেওয়া।
৩. বৈধ রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো।

চীনা রসুনের বিষাক্ততার প্রমাণ থাকলে তা আমদানি বন্ধ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া রসুনের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এই সম্পর্কিত আরও নিউজ...